দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : এ যেন এক উল্টোপুরাণ এর সাক্ষী থাকলো,বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের মেঠো পথ এবং সবুজ বনানী ঘেরা পানশিউলি গ্রাম।বিষ্ণুপুর শহর থেকে অলস অজগরের মতন মোরাম বিছানো রাস্তা ও কিছুটা ভাঙ্গা পিচ পেরোলেয় এই পানশিউলি গ্রাম।কয়েকটা কাঁচা পাকা বাড়ি নিয়ে অবস্থিত এই পানশিউলি গ্রাম আর এখানেই শুরু এক বিপত্তি,গ্রামের অধিকাংশ নলকূপ এবং টিউবওয়েল থেকে নিজের থেকেই ঝরে পড়ছে জল আর তার জেরে নাজেহাল গ্রামবাসীরা।গ্রামবাসীদের দাবি বর্ষাকাল এলেই বছরের পর বছর এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের।
বর্ষা আসে বর্ষা যায় কিন্তু সমস্যা কখনোই পিছু ছেড়ে যায়না।নলকূপ থেকে আপনা আপনি যে অধর শ্রাবণ ঝড়ে পড়ছে , তার জেরে ভোগান্তির শেষ নেই আপামোর গ্রামবাসীদের। এই জলের জেরে গ্রামের রাস্তাঘাট কাঁদাতে পরিপূর্ণ থাকে বছরের এই সময়টা। এক এতেই বর্ষাকাল চাষের জমি জলে ভর্তি তার ওপর অনর্গল পড়েই চলেছে ভূগর্ভের জল ফলে চাষের জমি আরো জলময় হয়ে পড়ছে। গ্রাম বাংলার অধিকাংশ মানুষের রান্না করার হাতিয়ার উনুন যেখানে,সেই উনুনসাল স্যাঁতসেতে অবস্থায় থাকে যার জেরে পেটের ভাত রাধতেও চরম সমস্যায় পড়তে হয় এই পানশিউলি গ্রামের বাসিন্দাদের।গ্রামবাসীদের এহেন সমস্যা এখনো প্রশাসনের দৃষ্টির অগোচরেই পড়ে আছে।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত এ বিষয়ে জানান, "বিষ্ণুপুর মহকুমার ঐ অঞ্চলগুলিতে গভীর বৃষ্টিপাতের ফলে জলস্তর বেড়ে যাওয়াতে এই বিপত্তি"। উনি আরো জানান এই সমস্যার সমাধান যাতে দ্রুত হয় সেই জন্য ব্লক প্রশাসনের সাথে উনি কথা বলছেন।
দক্ষিণবঙ্গের এই প্রান্তিক গ্রাম এবং সেই গ্রামে বসবাসকারী হাজারো মানুষের এই সমস্যা অচিরেই মিটে যাবে এই আশাতেই বুক বাঁধছেন গ্রামবাসীরা।